প্রলয়ের পথে
– রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
ক্ষয়ের লয়ে, প্রলয়ের ছন্দে প্রকৃতির উন্মত্ত ধারায় ক্ষয়িষ্ণু হয়ে চলেছে সৃষ্টি। প্রকৃতির খামখেয়ালী তালে হার মানছে যুক্তি, প্রযুক্তি। উন্মত্ততার বলি হয়ে যাচ্ছে অগুণতি প্রাণ, সভ্যতা, সংস্কৃতি। বিপদ যেন অজানা নিত্যনতুন অতিথি, আশঙ্কার খোলা চিঠি নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত… তার আড়ম্বর বা অনাড়ম্বর আগমনে সদা ত্রস্ত আমরা। তবে এটাও ঠিক প্রকৃতির এই বেতালা উন্মত্ততায় আমরাও দায় এড়াতে পারি না… প্রকৃতির ক্ষিপ্ত রূপের রহস্য অনেকটাই আমাদের জীবনধারার বিশৃঙ্খলার বীজের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। নূন্যতম চাহিদার নিবারণ করতে প্রকৃতির সাবলীলতায় প্রথম পড়ানো হয়েছিল শৃঙ্খল। নিরাপত্তা আর জীবনধারণের প্রয়োজন মিটিয়ে আমরা বিলাসিতার প্রাচুর্যে প্রয়োজনের সীমারেখা অতিক্রম করে এগিয়ে গেলাম দিন প্রতিদিন। বিজ্ঞানের দান অকাতরে নিতে বদ্ধপরিকর আমরা প্রকৃতিকে হেলায় দূরে সরিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সুবিধাভোগী হয়ে উঠেছি। আমরাও যে বড়ো অসহায় যুগোপযোগী হতে হলে যে বিজ্ঞানের দান বরণ না করে নিলে উপায় দেখি না, আবার বিজ্ঞানের সাবধান বাণী মেনে দোষী সাব্যস্ত আমরাই। তাই প্রকৃতির লয়-প্রলয়ের ধ্বনিতেই চিহ্নিত হতে চলেছে হয়তো আগামীর ধ্বংসের ঠিকানা….. দায়,তরজা মেনে নিয়ে আমরা অবুঝ ক্রীড়ানক সেই শেষ ঠিকানার অপেক্ষায়।
স্বজন সাথীদের সাহিত্য কুসুমে কুসুমিত আলাপী মনের সাহিত্য অঙ্গন। নতুন চিন্তাধারার প্রকাশে কিছু লেখনীতে শিহরিত হয়েছি, ভেবেছি সত্যিই সমাজ যদি এইভাবে বদলে যেত? হয়তো কালের নিয়মে যাবেও… আশাটুকু থাক।
মনছোঁয়া কিছু রচনা…’স্বজন ভজন’, ‘আবহে হতাশাতন্ত্র’, ‘জন্মদিন’, ‘ভেনাস দেবী’, ‘মোরা ভাই-ভাই’, ‘চুপ’, ‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন’,’ভালোবাসার কাছে নতজানু’, প্রবন্ধ ‘ভালো থেকো’, ‘পথে নামার ডাক’, ‘ফ্লাইওভার’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’।
কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা সকল স্বজন সাথী,পাঠক বন্ধুদের। কুশল কামনায় চিরন্তন।